Monday, December 1, 2014

গডফাদার আখ্যার সুফল পাচ্ছি

নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের এমপি শামীম ওসমান বলেছেন, সাংবাদিকরা এতদিন আমাকে গডফাদার আখ্যা দিয়ে যে সংবাদ পরিবেশন করেছেন তার সুফল এখন পাচ্ছি। এবার সাংসদ নির্বাচিত হয়ে এলাকার উন্নয়ন কাজের জন্য যে মন্ত্রণালয়ে গেছি সেখানকার কেউই আমার ফাইল আটকে রাখেনি। এখন সবাই আমাকে চেনে ও জানে।শনিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার বক্তাবলীতে 'শহীদ বক্তাবলী' দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এভাবেই তার মনোভাব ব্যক্ত করেন।
 শামীম ওসমান বলেন, '৭১ সালে নারায়ণগঞ্জের বক্তাবলীতে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর হাতে হত্যার শিকার ১৩৯ পরিবারকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পাওয়ার ব্যবস্থা করবেন।'
 তিনি পরিবারগুলোর সদস্যদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে বলেন, 'স্বাধীনতার ৪৩ বছরে পরিবারগুলোকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি, এটা পরিতাপের বিষয়।'
 শামীম ওসমান পরিবারগুলোর তালিকা করে জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোহাম্মদ আলীর কাছে জমা দেওয়ার জন্য বলেন। পরে সেই তালিকা অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে শহীদ পরিবারগুলোকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির ব্যবস্থা করা হবে বলেও জানান তিনি।শোক সভায় সভাপতিত্ব করেন বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও শহীদ দিবস উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক শওকত আলী। প্রধান বক্তা ছিলেন জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোহাম্মদ আলী।  বিশেষ অতিথি ছিলেন ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাইফউল্লাহ বাদল, ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি চন্দন শীল, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত মো. শহীদ বাদল।এর আগে দিবসটি পালন উপলক্ষে কানাইনগর কলেজ মাঠে শহীদদের উদ্দেশে নির্মিত স্মৃতিস্তম্ভ ও বধ্যভূমিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক আনিছুর রহমান মিঞা, সদর উপজেলা ইউএনও গাউছুল আজমসহ বিভিন্ন সংগঠন ও নিহতের পরিবারের সদস্যরা।উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের এই দিনের পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী ওই এলাকার ১৩৯ জন মানুষকে ধরে নিয়ে ব্রাশ ফায়ারে হত্যা করে। পরে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয় ২২ টি গ্রাম।-আমাদের প্রতিদিন ডটকম

No comments:

Post a Comment