কাবিননামা উঠাতে গিয়ে রাজধানীর মগবাজার মোড়ে এক কাজি অফিসে ২২ বছর বয়সী এক তরুণী গৃহবধূ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। মঙ্গলবার সকালের এ ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় কাজি নুরুল হুদাকে (৫২) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ওই গৃহবধূকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসি বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে।
রমনা থানার এসআই আবু সাঈদ জানান, গতকাল সকাল ৯টার দিকে মগবাজারের ওয়ারলেস গেট এলাকার রেললাইন সংলগ্ন কাজি অফিসে কাবিননামা উঠাতে যান ওই গৃহবধূ। এ সময় কাজি অফিসের কাজি নুরুল হুদা তার এক সহযোগীর সহায়তায় তাকে ধর্ষণ করেন। পরে এ ঘটনা চাপা দিতে ওই গৃহবধূকে কিছু টাকা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়। সেখান থেকে ছাড়া পাওয়ার পর ওই গৃহবধূ রমনা থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ করেন। তার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে থানায় নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়। পরে ওই গৃহবধূকে সঙ্গে নিয়ে ধর্ষককে গ্রেপ্তারে অভিযান চালায় পুলিশ। দুপুর দেড়টার দিকে কাজী অফিস থেকে নুরুল হুদাকে গ্রেপ্তার করলেও তার সহযোগী পালিয়ে যায়।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ওই গৃহবধূ সাংবাদিকদের জানান, তার গ্রামের বাড়ি গাজীপুরের জয়দেবপুর থানাধীন বানিয়ারচরে। কয়েক মাস আগে পূর্বপরিচিত এক যুবকের সঙ্গে তার মগবাজারের এই কাজি অফিসে বিয়ে হয়। তবে তিনি স্বামীর নাম প্রকাশ করতে রাজি হননি। গতকাল সকালে তিনি গাজীপুর থেকে কাবিননামা উঠানোর জন্য মগবাজারে আসেন। সেখানে আসার পর তিনি কাজি অফিস বন্ধ পেয়ে নুরুল হুদাকে ফোন করেন। নুরুল হুদা তাকে অপেক্ষা করতে বলেন। এরপর সকাল ৯টায় নুরুল হুদা অফিসে আসেন। সেখানে বিভিন্ন প্রসঙ্গে কথা বলার এক পর্যায়ে নুরুল হুদা তাকে পাশের একটি কক্ষে নিয়ে ধর্ষণ করেন। এ সময় তার এক সহযোগী বাইরে পাহারারত অবস্থায় ছিল। চিৎকার করলে তাকে মেরে ফেলার হুমকিও দেয়া হয়। পরে তাকে কিছু টাকা দিয়ে অফিস থেকে বের করে দেয়া হয়। এমনকি তাকে কাবিননামাও দেয়া হয়নি। পরে তিনি রমনা থানায় মামলা করেন।
গ্রেপ্তার কাজি নুরুল হদা পুলিশকে জানান, সকালে ওই গৃহবধূ বিয়ের কাবিননামা নেয়ার জন্য কাজি অফিসে আসেন। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তার কাবিননামা পাওয়া যাচ্ছিল না। সে এক এক সময় এক একটি বিয়ের তারিখ বলায় তার কাবিননামা পেতে বিলম্ব হচ্ছিল। হঠাৎ ওই গৃহবধূ অফিসের দরজা বন্ধ করে দেয়। এক পর্যায়ে মিথ্যা ধর্ষণ মামলার ভয় দেখিয়ে তার সঙ্গে খারাপ কাজ করতে বাধ্য করে। পরে ওই গৃহবধূ তার কাছে ৫ হাজার টাকা দাবি করে। এ সময় তিনি ২ হাজার টাকা দিয়ে মেয়েটির সঙ্গে মীমাংসা করে নেন। পরে আবার ওই গৃহবধূ তাকে মামলা করে পুলিশ দিয়ে গ্রেপ্তার করায়। ওই মেয়েকে তিনি বিয়ে পড়িয়েছিলেন বলেও তার মনে পড়ছে না। - যাযাদি রিপোর্ট
রমনা থানার এসআই আবু সাঈদ জানান, গতকাল সকাল ৯টার দিকে মগবাজারের ওয়ারলেস গেট এলাকার রেললাইন সংলগ্ন কাজি অফিসে কাবিননামা উঠাতে যান ওই গৃহবধূ। এ সময় কাজি অফিসের কাজি নুরুল হুদা তার এক সহযোগীর সহায়তায় তাকে ধর্ষণ করেন। পরে এ ঘটনা চাপা দিতে ওই গৃহবধূকে কিছু টাকা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়। সেখান থেকে ছাড়া পাওয়ার পর ওই গৃহবধূ রমনা থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ করেন। তার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে থানায় নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়। পরে ওই গৃহবধূকে সঙ্গে নিয়ে ধর্ষককে গ্রেপ্তারে অভিযান চালায় পুলিশ। দুপুর দেড়টার দিকে কাজী অফিস থেকে নুরুল হুদাকে গ্রেপ্তার করলেও তার সহযোগী পালিয়ে যায়।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ওই গৃহবধূ সাংবাদিকদের জানান, তার গ্রামের বাড়ি গাজীপুরের জয়দেবপুর থানাধীন বানিয়ারচরে। কয়েক মাস আগে পূর্বপরিচিত এক যুবকের সঙ্গে তার মগবাজারের এই কাজি অফিসে বিয়ে হয়। তবে তিনি স্বামীর নাম প্রকাশ করতে রাজি হননি। গতকাল সকালে তিনি গাজীপুর থেকে কাবিননামা উঠানোর জন্য মগবাজারে আসেন। সেখানে আসার পর তিনি কাজি অফিস বন্ধ পেয়ে নুরুল হুদাকে ফোন করেন। নুরুল হুদা তাকে অপেক্ষা করতে বলেন। এরপর সকাল ৯টায় নুরুল হুদা অফিসে আসেন। সেখানে বিভিন্ন প্রসঙ্গে কথা বলার এক পর্যায়ে নুরুল হুদা তাকে পাশের একটি কক্ষে নিয়ে ধর্ষণ করেন। এ সময় তার এক সহযোগী বাইরে পাহারারত অবস্থায় ছিল। চিৎকার করলে তাকে মেরে ফেলার হুমকিও দেয়া হয়। পরে তাকে কিছু টাকা দিয়ে অফিস থেকে বের করে দেয়া হয়। এমনকি তাকে কাবিননামাও দেয়া হয়নি। পরে তিনি রমনা থানায় মামলা করেন।
গ্রেপ্তার কাজি নুরুল হদা পুলিশকে জানান, সকালে ওই গৃহবধূ বিয়ের কাবিননামা নেয়ার জন্য কাজি অফিসে আসেন। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তার কাবিননামা পাওয়া যাচ্ছিল না। সে এক এক সময় এক একটি বিয়ের তারিখ বলায় তার কাবিননামা পেতে বিলম্ব হচ্ছিল। হঠাৎ ওই গৃহবধূ অফিসের দরজা বন্ধ করে দেয়। এক পর্যায়ে মিথ্যা ধর্ষণ মামলার ভয় দেখিয়ে তার সঙ্গে খারাপ কাজ করতে বাধ্য করে। পরে ওই গৃহবধূ তার কাছে ৫ হাজার টাকা দাবি করে। এ সময় তিনি ২ হাজার টাকা দিয়ে মেয়েটির সঙ্গে মীমাংসা করে নেন। পরে আবার ওই গৃহবধূ তাকে মামলা করে পুলিশ দিয়ে গ্রেপ্তার করায়। ওই মেয়েকে তিনি বিয়ে পড়িয়েছিলেন বলেও তার মনে পড়ছে না। - যাযাদি রিপোর্ট
No comments:
Post a Comment