
আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা জামানত হারাবেন, এই ভয়েই নির্বাচন দেওয়া হচ্ছে না বলে দাবি করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, তারা (আওয়ামী লীগ) নির্বাচন দিতে ভয় পায়। কারণ, তারা জানে যে নির্বাচনে তাদের প্রার্থীরা জামানত হারাবেন। সে জন্য নির্বাচন দিতে এত অনীহা।
বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে জাতীয়তাবাদী মহিলা দল আয়োজিত এক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন।
আন্দোলনের মাধ্যমে সব দলের অংশগ্রহণে একটি নির্বাচন দিতে সরকারকে বাধ্য করতে দুর্বার গণ-আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান মির্জা আলমগীর।
নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, 'নিজেদের মধ্যে বিভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। জনগণের ওপর অবৈধ ও অনৈতিকভাবে চেপে বসা জুলুমবাজ সরকারকে সরিয়ে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনে বাধ্য করতে হবে।' এ জন্য সর্বাত্মক শক্তি নিয়োগ করার আহ্বান জানান তিনি।
ক্ষমতা চিরস্থায়ী করতে সরকার সব গণতান্ত্রিক পথ রুদ্ধ করেছে অভিযোগ করে ফখরুল বলেন, 'তারা অতীতের মতো দ্বিতীয়বার বাকশাল কায়েম করতে চায়। সে জন্য বিরোধী দলকে ধ্বংস করতে উঠেপড়ে লেগেছে।'
বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান বিএনপির এই মুখপাত্র। তিনি বলেন, 'রাজনীতি থেকে তাকে দূরে রাখতেই এসব মামলা দেওয়া হচ্ছে। কারণ, ক্ষমতাসীনরা তারেক রহমানকে ভয় পায়।'
তারেক রহমানকে তরুণ প্রজন্মের 'জনপ্রিয় সম্ভাবনাময় নেতা' হিসেবে অভিহিত করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব বলেন, 'যেদিন তিনি (তারেক রহমান) এয়ারপোর্টে নামবেন সেদিন লাখ লাখ মানুষের ঢলে এই সরকার নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে।'
এ সময় ব্যারিস্টার তুহিন মালিকের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা দায়েরের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তিনি।
মির্জা আলমগীর বলেন, 'ক্ষমতাসীনরা গণতান্ত্রিক সমাজে বাকস্বাধীনতার কথা বলে। কিন্তু এই সরকারের শাসনামলে শুধু কথা বলার জন্য মামলা হয়, সাত বছরের জেল হয়। কার্টুন আঁকার জন্য মামলা হয়, গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়। এগুলো কোনো সভ্য সমাজে হয় না।'
বিএনপি সম্পর্কে ক্ষমতাসীনরা নেতিবাচক প্রচার চালায়- এমন দাবি করে তিনি বলেন, 'একটি মহল বিএনপিকে মৌলবাদ ও পুরোনো রাজনৈতিক দল হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চায়। ইনু তো সব সময় বলেন, বিএনপি নাকি জঙ্গিবাদের হোতা। এইসব কথা বলে তারা জনগণের মাঝে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে চায়।'
বিএনপির এই নেতা বলেন, 'বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া নারীর উন্নয়নে যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত অবৈতনিক শিক্ষার ব্যবস্থা করেছিলেন।'
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি নুরে আরা সাফার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী প্রমুখ।-আমাদের প্রতিদিন ডটকম
No comments:
Post a Comment