Tuesday, December 2, 2014

বিয়ের পিড়িতে বসা হয়নি, তবুও দুই সন্তানের জননী, গ্রামবাসীর তোপের মুখে স-পরিবারে এলাকাছাড়া


রিপোর্ট এস.এম রফিকুল ইসলাম
বরিশাল সদর উপজেলার রায়পাশা কড়াপুরের শিবপাশা গ্রামের হাজী বাড়ির এয়োদশী কিশোরী সোহাগী (ছদ্মনাম)। দেশের চলমান আইনে সোহাগী শিশু কিংবা কিশোরীর তালিকায় থাকলে ও সে এখন পূরো যৌবনবর্তী। গ্রামের অন্য ১০ টি মেয়ের সাথে সোহাগীর চলাফেরার কোন মিল ছিলনা। সে হলিউড কিংবা বলিউডের নায়িকাদের মতো খোলা মেলা পোষাকে গোটাপাড়া দাবড়িয়ে বেড়াত। যে কারনেই এলাকার দুষ্ট ছেলেদের নজর পরেছে মেয়েটির উপর। তাই অল্প বয়সেই অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে অন্তসত্বা হয়ে পরে সে । এ জন্য ১ জনকে দায়ী করে থানায় মামলাও ঠুকে দিয়েছিল সোহাগী। মামলার খবর পেয়ে সেই রোমিও যুবক এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে। তবে ঐ যুবকের অনুপস্থিতিতে সোহাগী পূনরায় অন্তসত্বা হয়ে পরে। কিন্তু এবার সে নিজেও প্রকাশ করতে পারছেনা কে তার দ্বিতীয় সম্ভাবনার পিতা। হয়তো প্রভাব প্রতিপত্তি ওয়ালাদের চাপের মুখে, নয়তো অর্থের প্রলোভনের ফাদে পা দিয়ে মুখে কসটেপ মেরে দিয়েছে সোহাগী নিজেই। যে কারনে পাড়া প্রতিবেশীদের রোষানলে পড়ে অবশেষে পিতা মাতা ভাই বোনসহ অজানার উদ্দেশ্যে চলে গেছে হতভাগা সোহাগী নামের মেয়েটি। প্রথম ঘটনা ২০১১ সালের ১ জানুয়ারী। দ্বিতীয় ঘটনা চলমান। বিয়ের আগেই কুমারি সোহাগীর কোলে একটি ফুটফুটে সন্তান থাকা অবস্থায় আবারো অন্তঃসত্বা হয়ে পড়েছে সে। প্রথম সন্তানের পিতৃ পরিচয়ের দাবীতে ঐ তরুনীর দায়েরকৃত মামলার আসামী রেজাউল এলাকা ছেড়ে অন্যত্র পলাতক রয়েছে। ভিকটিম তরুনী মুখ না খোলার কারনে দ্বিতীয় সন্তানের পিতৃ পরিচয় নিয়ে উদ্বিগ্ন এলাকাবাসী। সম্প্রতি স্থানীয় বাসিন্দাদের তোপের মুখে ঐ তরুনীসহ তার মা বাবা এলাকা ছেড়ে অজানার উদ্দেশ্যে পাড়ি জমিয়েছে। ঘটনার সতত্যা স্বীকার করেছেন স্থানীয় চেয়ারম্যান মেম্বর সহ একাধিক গন্যমান্য ব্যক্তি। ঘটনাটি নিয়ে দৈনিক আলোকিত বরিশাল’র অনুসন্ধানী টিম সরেজমিনে গেলে সোহাগীদের হাজিবাড়ির গৃহবধু সালমা, নিলুফা, সেতারা ও শাসছুল হকসহ ২০/২২ জন এলাকাবাসী জানান, ৪/৫ বছর আগে সেকেন্দার আলীর মেয়ে সোহাগী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পরে। সন্তানের পিতৃ পরিচয়ের দাবীতে একই বাড়ির রেজাউল ইসলামকেসহ তার মা বাবাকে আসামী করে ২০১১ সালের ১৯ জুলাই বরিশাল এয়ারপোর্ট থানায় মামলা দায়ের করে ৫ মাসের অন্তঃসত্বা ঐ তরুনী। মামলার পর থেকেই এলাকা ছেড়ে চলে যায় রেজাউল। বর্তমানে রেজাউল এলাকায় নেই। তবুও থেমে থাকেনি তরুনী সোহাগীর গোপন অভিসারে চালিয়ে যাওয়া বেহায়াপনা। তাই ২ দফায় সে ৫/৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পরেছে। আর এ বিষয়টি সহজভাবে মেনে নিতে না পেরে উত্তেজিত হয়ে উঠেছে এলাকার লোকজন। সরেজমিনে পরিদর্শনকালে সোহাগীদের বাসায় তার বোন সনিয়া (৩০) ও রেক্সনা নামের এক শিশুকে পাওয়া গেছে। সোহাগীর বোন সনিয়াও ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বাবা মা ও বোন (ঐ তরুনী) কোথায় আছে জানি না। সনিয়া স্বামীর বাড়ি থেকে বাপের বাড়িতে এসে কাউকে পায়নি। ােভ প্রকাশ করে এলাকার অনেকেই জানিয়েছেন, অন্তঃসত্বা সোহাগী এলাকায় আসতে পারবে না। ইতোমধ্যে সেকেন্দার আলীর বসতঘরের চারপাশে থাকা জমি মালিকরা বাশঁ ও কাঠ দিয়ে বেড়া দিয়েছে। যাতে কলঙ্কের তকমা গায়ে বুলানো ঐ সোহাগী বাড়িতে ফিরে এসে চলাফেরা করতে না পারে। স্থানীয় ইউপি সদস্য রশিদ সরদার জানিয়েছেন, প্রথম ঘটনায় মামলা চলমান থাকলেও ২য় ঘটনায় কে সম্পৃক্ত তা জানার উপায় নেই। কেননা অভিযুক্ত মেয়েটি তার মা বাবা কে নিয়ে পালিয়েছে। কোথায় আছে তাও কেউ জানে না। স্থানীয় বিশ্বস্ত এক সুত্র জানিয়েছেন, ডিএনএ টেষ্টের মাধ্যমে নির্ধারন করা যেতে পারে সোহাগীর অনাগত সম্ভাবনার। সোহাগীর অভিযোগের প্রেেিত প্রথম সন্তানের জন্য দায়ী রেজাউল। কিন্তু অধিকাংশ স্থানীয়দের চোখে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য রশিদ এর ফুফাতো ভাই ইব্রাহীম খানের ছেলে জসিম। মোটা অংকের টাকার বিনিময় বিষয়টি ধামাচাপা রয়েছে বলে জানা গেছে। এ তরুনীর প্রথম সন্তানের রহস্য রেজাউল ও জসিমের মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে একাধিক সূত্র। আর ২য় সন্তানটির রহস্য হচ্ছে ঐ তরুনীর বসতঘরে তার ভাই তৌফিকের বন্ধু পরিচয়ে বসবাসকারী এক যুবক। সেই তৌফিকও বর্তমানে পলাতক। অনেক সময় এ যুবককে তরুনী সেতু তার এক বোনের চাচাতো দেবর বলে পরিচয় দিত। প্রিয় পাঠক, আজ আর নয় এখানেই শেষ করছি। তবে ফিরে আসবো আগামী রবিবার অন্য কোন নতুন ঘটনা নিয়ে। সে পর্যন্ত সুস্থ থাকুন ভাল থাকুন আমাদের সাথেই থাকুন। আল্লাহ হাফেজ।

No comments:

Post a Comment