Tuesday, December 2, 2014

হ্যালো দালাল সাংবাদিক আপনাকে বলছি...

হ্যালো দালাল সাংবাদিক আপনাকে বলছি...


গভীর রাতে মাল খেয়ে টাল হয়ে নেশার রাজ্যের রাজা বনে গিয়ে ধ্যানমগ্ন অবস্থায় ঘুমিয়ে পরা শাহরুখ স্বপ্ন দেখেন লাল নীল রংয়ের। আবার পড়ন্ত বিকেলে কুসুম আলো সূর্য অস্ত যাবার পূর্বে ঘুম ভেঙে তাড়াহুড়ো করে কম্পিউটারের সামনে বসতেও ভুল করেন না। কিবোর্ডের বাটন টিপে অবিরাম লিখে চলেন মনের মাধুরী মিশিয়ে মনে যাহা আসে তাই...! যেন বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথের পাগলা হাওয়ার বাদল দিনে পাগল আমার মন নেচে উঠের মত। শান্তির শহর বরিশালে সাংবাদিকতার অন্তরালে এমন এক শাহরুখের সন্ধান পাওয়া গেছে। যিনি নিজেকে স্ব-ঘোষিত সাংবাদিক নেতা পরিচয় দিয়ে বরিশাল শহরে কর্মরত সংবাদকর্মীদের মাথা বেচাকেনায় ব্যস্ত থাকেন। এই শহরের মাদক বাণিজ্য আবাসিক হোটেলে পতিতা বানিজ্য, রোগী ধরা দালাল, দালাল নির্ভর ডাক্তার ও দালালদের শেল্টারদাতা হিসেবে তার নাম শীর্ষ অবস্থানে। বরিশাল সদর উপজেলার বুখাইনগর গ্রামের লিটন হাওলাদার বরিশাল শহরে যিনি লিটন বাশার নামে পরিচিত। বরিশাল নগরী ও এর আশপাশে চলমান সকল যাত্রা, জুয়ার আসর থেকে তার নামে বখরা আসে। এ কারনেই এসকল অপকর্মের বিরুদ্ধে কেউ সংবাদ প্রকাশ করলে সেই সকল সংবাদপত্রের কণ্ঠ রোধের জোর প্রচেষ্টা চালাতেও কার্পন্যতা নেই তার। যার ধারাবাহিকতায় গতকাল দৈনিক ভোরের আলো পত্রিকায় হ্যালো চাঁদাবাজ সাংবাদিক আপনাকে বলছি শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ করেছেন। নিজেকে খুব বড় সাংবাদিক হিসেবে জাহির করা লিটন বাশার উক্ত ভাড়াটিয়া পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক। তাই তার পত্রিকায় বরিশাল শহরেরই আরেক সংবাদকর্মীর বিরুদ্ধে যা খুশি তাই লিখে দিতে পারেন। কিন্তু এই লেখার পিছনে তার যে একটি নিজস্ব স্বার্থ বিরাজমান তা সচেতন পাঠকরা বুঝতে হয়তো ভূল করেননি। ব্যাক্তি যোগ্যতায় নয় ইত্তেফাকের মালিক শ্রদ্ধেয় আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর কাছে চরমোনাইর মরহুম পীর সাহেবের টেলিফোনে সুপারিশের ইজ্জতে ব্যুরোচীফ পদে বহাল থেকে বরিশাল শহরের কর্মরত সকল সংবাদকর্মীদের কব্জা করে রাখতে চাইছেন। তার কব্জার বাইরে থাকা সাংবাদিকদের ধান্দাবাজ-চাঁদাবাজ অবৈধ পরিবহন ব্যবসায়ী ও মাদক ব্যবসায়ী বানিয়ে দিতেও তার বিন্দুমাত্র বিবেক কেঁপে উঠেনা। গতকাল ভোরের আলো পত্রিকায় অলোকিত বরিশাল’র নির্বাহী সম্পাদক ও বার্তা প্রধান এস. এম রফিকুল ইসলামকে চাঁদাবাজ, অবৈধ পরিবহন ব্যবসায়ী ও মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে উল্লেখ করে যাত্রা, জুয়া, মাদক, দালাল নির্ভর ডাক্তার ও রোগী ধরা দালালদের পে তিনি সাফাই গেয়েছেন। এস.এম রফিককে উদ্দেশ্য করে তার পত্রিকার লিখেছেন উলাল বাটনার মোক্তার কাজীর যাত্রা ও অবৈধ যানবাহন নিয়ে কম লেখেননি কিন্তু কোন কিছু কি বন্ধ হয়েছে? কি বন্ধ হইলো সেটা দেখার বিষয় নয়, তবে মুরব্বীকে এতটুকু শোনাতে চাই যেখানে সদর রোডে প্রতি ১০টি অটোরিক্সার ৯টি দেখা যেতো লাইসেন্স ছাড়া সেখানে বর্তমানে প্রতি ১০ টির ৯টিতেই লাইসেন্স রয়েছে। শুধুমাত্র ১০টিতে ১টি অটোরিক্সা থাকতে পারে আপনার মত প্রভাবশালী সাংবাদিকের সুপারিশে চলার জন্য। আপনার লেখার জবাবে শুধুমাত্র এতটুক বলতে চাই, বরিশাল শহরে এস. এম. রফিকের নামে কোন অবৈধ পরিবহন চলেনা। তার মালিকানাধীন সবকটি গাড়ী বৈধ এবং কাগজপত্র আপ-টু ডেট। আপনার প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বলতে পারি বরিশালে তার ২/৪টি গাড়ী যাই চলে যদি এর ১টিও অবৈধ প্রমান করতে পারেন তাহলে মনে করবো আপনিই মহান ও প্রকৃত সাংবাদিক, অন্যাথায় আপনাকে ভুয়া ভুইফোর ছাড়া অন্য কিছু মনে করার কারণ নেই। গড়িয়ারপাড়ে বড় কাজী সাহেবের যাত্রা জুয়ার কথা বলেছেন, সেটা লিখতে নাকি আমরা ভয় পাই নাকি ম্যানেজ হয়েছি। আসলে জনাব লিটন বাশার আপনার লেখনীতে নিজেকে সবজান্তা শমসের হিসেবে জাহির করতে চেয়েছেন। কেননা আলোকিত বরিশাল কোন ব্যক্তির সাথে শত্র“তা করে না। অন্যায় অপকর্মের বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান সোচ্চার। সেেেত্র কে যাত্রা, জুয়ার মাঠ পরিচালনা করে তা দেখার বিষয় নয়। নেশার ঘোরে ধ্যান মগ্ন না থেকে গত ২৩ অক্টোবরের আলোকিত বরিশাল দেখুন তাহলেই উত্তরটা খুঁজে পাবেন বলে আশা রাখছি। যাইহোক প্রশ্নটা এখানেই যে, মোক্তার কাজীর যাত্রা জুয়ার পে আপনার শক্ত অবস্থান কেন? শুনেছি আপনার নামে উলাল বাটনা থেকে প্রতি রাতে ১৫শ টাকা আসে। তাহলে কি ধরে নেবো আলোকিত বরিশাল’র কণ্ট্রাক্টও আপনি নিয়েছেন। আপনি জানতে চেয়েছেন নবাগত পুলিশ কমিশনারের কাছে নগরবাসীর সুখ দুঃখের কথা জানানোর দায়িত্ব এস.এম রফিককে কে দিয়েছে? এমন প্রশ্নের উত্তরটি সচেতন পাঠকদের কাছে ছেড়ে দিলাম। কেননা একজন নগন্য সংবাদকর্মী না হয় বাদ-ই দিলাম একজন সচেতন মানুষ হিসেবে দৃশ্যমান সকল অন্যায় অত্যচার অপকর্মের বিরুদ্ধে কথা বলা তার নাগরিক অধিকার। একজন আইনের ছাত্র হিসেবে আপনাকে পরামর্শ দেব আইনের বই পড়–ন, সেখানে কি লেখা রয়েছে চোখ মেলে দেখুন, একজন অপরাধীকে কিংবা কোন ব্যাক্তির চলা ফেরায় সন্দেহ হলে তাকে আটক করে পুলিশে সোর্পদ করার অধিকার রাষ্ট্রই ব্যক্তিকে দিয়েছে। কিন্তু এস.এম রফিকতো শুধু দৃশ্যমান অপকর্মগুলো লিখে যাচ্ছে মাত্র। যাইহোক যাত্রা, জুয়া, অবৈধ যানবাহন, দালাল নির্ভর ডাক্তার ও রোগীর দালাল নিয়ে লিখলে আপনার সমস্যাটা কোথায়? তাহলে কি ধরে নিতে হবে যে আপনি এ সবকিছুর সাথে জড়িত। হোটেল পাতারহাট, গালিব, তাজমহল থেকে আপনার নামে যে মাসোহারা আসে তা বলতে চাইনা। জানতে চাইনা বরিশালের এক সময়কার চিহিৃত সন্ত্রাসী বাদাম আমিরুলের পাবলম্বন করে আপনার কলাম লেখার উদ্দেশ্যটা কি? ঝাড়–দার শাহীনের ডায়গনষ্টিক সেন্টার নিয়ে আপনার এতো বাড়াবাড়ি কেন? কোন সংবাদকর্মীর লেখা পাঠক প্রিয়তা পেলে আপনার ঈর্ষা জাগে কেন? এস.এম রফিকের লেখায় যদি কিছু না আসে যায় তাহলে আপনার লেখায় যে অনেক কিছু আসে যায় তাও আমরা জানি। কেননা আপনি তো কোতয়ালী মডেল থানার ওসি সাখাওয়াত হোসনকে নিয়ে কম লেখেননি। কাউনিয়া থানার ওসি কাজী মাহবুবকে আপনি পাজি মাহবুব বলে সম্বোধন করেছেন, তারা কি আপনার লেখার চোটে স্ট্যান্ড রিলিজ হয়েছেন, নাকি স্বপদে বহাল আছেন? মাস্টার্স ‘ল’ পাশ করে যদি কোন শিতি সংবাদকর্মী কোট টাই স্যুট পরে সেটা দেখে আপনার অসহ্য যন্ত্রনা উঠার কারন কি? নাকি আপনি এর চেয়েও বেশি বড় ডিগ্রীধারী? সিটিএসবি পুলিশের এক ভেরিভেশন রিপোর্টে জানতে পেরেছি আপনি নাকি এইচএসসি পাশ। তার পরে আরো কোন ডিগ্রী অর্জন হয়েছে কিনা তা আমাদের জানা নেই। আপনি তো বরিশালের সিনিয়র সাংবাদিক তাই আপনার কাছে জানতে চাই কোন কিছু স্ব-চোখে দেখলে শুনলে লেখা যাবেনা তাহলে সাংবাদিকের কাজটা কি? গভীর রাতে সদর রোডে ঝাড়–দারদের কুড়িয়ে রাখা ময়লা আর্বজনার স্তুপে মাতাল অবস্থায় পকেট থেকে ম্যাচ বের করে আগুন ধরিয়ে দেয়া, নাকি লাইট পোস্টের খাম্বার সাথে কথা বলা, নাকি রাতের বরিশালে রিক্সা চালকদের মা-বোন তুলে গালাগালি করা? নাকি নামে বেনামে কতগুলা ডায়গনস্টিক সেন্টার খুলে চিকিৎসার নামে মানুষকে জবাই করা, সর্বস্ব হাতিয়ে নেয়া, নাকি সহকর্মী সাংবাদিকদের নামে ইনিয়ে বিনিয়ে দীর্ঘ কলাম লিখে নিজেকে বড় মাপের কলামিষ্ট হিসেবে জাহির করা। জনাব লিটন বাশার আপনি সমাজের সম্মানিত লোকদের সম্মান না দেওয়ার সীমাবদ্ধতার কথা, অন্যকে ছোট করে নিজে কখনো বড় হওয়া যায়না এসব নীতি বাক্যের বানী শুনিয়েছেন। আপনার একথাগুলো থেকে বলতে চাই একটি সহযোগী দৈনিকের নির্বাহী সম্পাদক ও বার্তা প্রধানকে কিভাবে সম্মান করে কথা বলা উচিত সেটা আপনার জানা না থাকলে অপর একটি সহযোগী দৈনিকের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক হিসেবে সম্মান পাওয়ার যোগ্যতা অপনার নেই। আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মুদ (সঃ) মিষ্টি কম খেতে উপদেশ দেয়ার আগে নিজে মিষ্টি কম খেয়েছিলেন, পরে অন্যকে পরামর্শ দিয়েছিলেন। এমন হলে হয়তো দেশ ও জাতির কল্যানে নিজেকে কাজে লাগাতে পারবেন। কিন্তু যে এস.এম রফিকের মদ ,গাঁজা, ফেন্সি কিংবা মাদকের নেশা তো দুরের কথা ধুমপানেরও নেশা নেই, যিনি জীবনে হাতে কোন মাদক ছুয়েও দেখেননি তাকে মাদক ব্যবসায়ী বানানোর অপচেষ্টা চালিয়ে যান সমস্যা নেই। আপনার মত লিটন বাশারের কথায় কেউ মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে চিহিৃত হবে না। কেননা আপনি যেমন লিখেছেন পুলিশের একাধিক গোয়েন্দা ইউনিট রয়েছে তেমনি সবার েেত্র সব কিছুই গোয়েন্দা ইউনিট তদন্ত কিংবা নিজস্ব র‌্যাকির মাধ্যমে ব্যবস্থা নিবে। কে ইনিয়ে বিনিয়ে লিখে বা লেখা চুরি করে, কার লেখা পাঠক পছন্দ করে, না করে এটা একান্তই পাঠকের ব্যক্তিগত বিষয়। তবে আপনি যে ঢাকার একটি প্রতিবেদন দিন দুপুরে ওদের বাসর নিয়ে কটা করে লিখেছেন সেই লেখাটি হয়তো নিদ্রামগ্ন চোখে আপনি পুরোটা দেখতে পারেননি। কারন ওটা যে ঢাকার ঘটনা তা সেদিনের লেখায় উল্লেখ ছিলো। পাঠকদের অনুরোধে উক্ত প্রতিবেদনটিকে আলোকিত বরিশালে মডিফাই করে প্রকাশ করা হয়েছিল মাত্র। যাই হোক, এস.এম রফিকের সব লেখাই যদি নকল হয়, চুরি করে লেখা হয়ে থাকে, অসত্য কিংবা মিথ্যা হয়ে থাকে তা দেখার কিংবা বিবেচনা করার দায়িত্ব সচেতন পাঠকের। কেননা অগ্রসর পাঠকের দৈনিক হিসেবে আলোকিত বরিশালকে পাঠকের সামনে উপস্থাপন করা হচ্ছে।এ নিয়ে আপনার মাথা ব্যাথার কারন কি? যাইহোক জানি আপনি মহামূল্যবান কিংবা অপনার সময় মূল্যবান। চাইনা আপনার মুল্যবান সময় কোন সংবাদকর্মীর পিছনে ব্যয় করেন। হোক সে বরিশাল শহরের সিনিয়র, জুনিয়র কিংবা খুবই নগন্য। মনে রাখবেন আলোকিত বরিশাল কোন মাদক বাণিজ্য, ভূমি দস্যুতা কিংবা কসাই খানার টাকায় চলেনা। সম্পাদক প্যানেলের প্রতিটি সদস্য’র মাথার ঘাম পায়ে ফেলে পরিশ্রম করে অর্জিত টাকার অংশবিশেষ দিয়ে আলোকিত বরিশাল এগিয়ে যাচ্ছে। কোন হুমকী কিংবা ভয় ভীতি প্রদর্শনে আমরা ভীত নই। কেননা আপনি কম্পিউটারে বসে রিপোর্ট লিখছেন অন্যদিকে এস.এম রফিকের পিতার নাম বাড়ি ঘর খুঁজেছেন, সেই ঠিকানায় তার লাশ পাঠিয়ে দেয়ার জন্য। বরিশাল শহরে আপনার যে গুন্ডাবাহিনী রয়েছে তাতে আপনি যে কোন মুহুর্তে সেটা পারবেন বলে বিশ্বাস করি। কিন্তু এই বলে এস.এম রফিক কিংম্বা আলোকিত বরিশাল আপনার নেতৃত্বকে মেনে নেবে না এবং নেয়ার প্রয়োজনও মনে করেনা। তাই বিনয়ের সাথে আপনার প্রতি বলবো আপনার মুল্যবান সময় নষ্ট করে আমাদের অমূল্যবান সময় নষ্ট করতে প্ররোচিত করবেন না প্লিজ। নিজের ব্যক্তিত্ব জাহির করতে গিয়ে আরেক সহযোগী দৈনিক কর্মরত সংবাদকর্মীদের হেয় করার অপচেষ্টা না করাই ভালো। কারন হাটে হাড়ি ভাঙলে হাতে কিছু থাকে না।-রিপোর্ট আলোকিত বরিশাল

No comments:

Post a Comment