১৯৩৬ সালের এই দিনে বগুড়ার গাবতলীর বাগবাড়ীতে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তার বাবার নাম মনসুর রহমান। পেশায় তিনি ছিলেন রসায়নবিদ। বগুড়া ও কলকাতায় শৈশব ও কৈশোর অতিবাহিত করার পর জিয়াউর রহমান বাবার সাথে তার কর্মস্থল করাচিতে যান।
১৯৫৫ সালে তিনি পাকিস্তান মিলিটারি একাডেমিতে অফিসার হিসেবে কমিশন লাভ করেন। বর্ণাঢ্য কর্মজীবনের অধিকারী জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের গণমানুষের কাছে বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের প্রবক্তা ও বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে স্বীকৃত হয়েছেন।
জিয়াউর রহমানের পিতা কলকাতা শহরে এক সরকারি দপ্তরে রসায়নবিদ হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তার শৈশবের কিছুকাল বগুড়ার গ্রামে ও কিছুকাল কলকাতা শহরে অতিবাহিত হয়। ভারতবর্ষ বিভক্ত হওয়ার পর তার পিতা পশ্চিম পাকিস্তানের করাচি শহরে চলে যান। তখন জিয়া কলকাতার হেয়ার স্কুল ত্যাগ করে করাচি একাডেমি স্কুলে ভর্তি হন। ওই স্কুল থেকে তিনি ১৯৫২ সালে কৃতিত্বের সঙ্গে মাধ্যমিক শিক্ষা সমাপ্ত করেন। ১৯৫৩ সালে করাচিতে ডিজে কলেজে ভর্তি হন। একই বছর তিনি কাকুল মিলিটারি একাডেমিতে অফিসার ক্যাডেট হিসেবে যোগদান করেন।
অসাধারণ দেশপ্রেমিক, অসম সাহসিকতা, সততা, নিষ্ঠা ও সহজ-সরল ব্যক্তিত্বের প্রতীক জিয়াউর রহমানের অবদান অসামান্য। ১৯৬৫ সালে পাক-ভারত যুদ্ধে খেমকারান সেক্টরে অসীম সাহসিকতার সঙ্গে তিনি যুদ্ধ করেন। আবার বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সেক্টর কমন্ডার হিসেবে যুদ্ধ পরিচালনা করেন।
জিয়াউর রহমানের সৈনিক ও রাজনৈতিক জীবনের সততা, নিষ্ঠা ও নিরলস পরিশ্রম প্রতিটি মানুষ শ্রদ্ধাভরে এখনো স্মরণ করে। একজন খাঁটি দেশপ্রেমিক হিসেবেও তার পরিচিতি সর্বজনবিদিত। সময়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে জিয়ার রাজনৈতিক দর্শন ও দিক নির্দেশনা।
কর্মসূচি : দিবসটি উপলক্ষে সকাল ১১টায় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা শেরে বাংলা নগরে জিয়াউর রহমানের মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। এ ছাড়া বিভিন্ন অঙ্গসংগঠন সারাদেশে জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে নানা কর্মসূচি পালন করবে। অবরোধ কর্মসূচি চলমান থাকায় দিবসটি উপলক্ষে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেনি বিএনপি। -পরিবর্তন
No comments:
Post a Comment