Friday, January 2, 2015

শীতে সুস্থ থাকার উপায়


শীতে সুস্থ থাকার উপায়
ঘুম থেকে উঠলেই দেখা যায় প্রকৃতি কুয়াশাচ্ছন্ন, আর সবুজ ঘাসে জমে আছে বিন্দু বিন্দু শিশির। অনেক সময় প্রকৃতি সাজে অপরূপ সৌন্দর্যে, বেড়ে যায় পর্যটকদের আনাগোনাও। তবে শীতকাল শুরুর এই সময়টা উপভোগ্য হলেও দেখা দিতে পারে বাড়তি কিছু স্বাস্থ্য সমস্যা। ফলে এ সময়টাতে প্রয়োজন কিছুটা বাড়তি সতর্কতা, তাতে মিলতে পারে স্বস্তি। শীতের এ সময়ে করণীয় সম্পর্কে জানাচ্ছেন বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী ফারিয়া তাহ্‌সিন
হাত ধোয়া : শীতে অনেক বেশি ফ্লু, বিভিন্ন ধরনের ভাইরাস ছড়ায়। ফলে এ সময়টাতে হাত পরিষ্কার রাখা খুবই জরুরি। তাই খাওয়ার আগে ও পরে ভালো করে হাত ধুতে হবে।
প্রতিষেধক টিকা : এ সময়টায় প্রতিষেধক টিকা নেওয়া উচিত। বিশেষ করে বাচ্চাদের। কারণ শীতে অনেক বেশি জীবাণু ছড়ায় এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়।
খাদ্য ও পুষ্টি : শীতের সময় বাজারে অনেক তাজা শাক-সবজি পাওয়া যায়। সেগুলো বেশি বেশি করে খেতে হবে। পাশাপাশি আমিষজাতীয় খাবারও বেশি করে গ্রহণ করতে হবে।
ভিটামিন : এ সময়টায় ভিটামিন-সি অনেক বেশি কার্যকরী। ঠান্ডা, ফ্লু, কাশি ইত্যাদির পাশাপাশি এই ভিটামিন শরীরের ত্বকের জন্যও উপকারী।
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা : শীতে অনেকে গোসল করা থেকে বিরত থাকেন। এটা একদমই উচিত নয়। শরীর যত বেশি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকবে, জীবাণুর আক্রমণ থেকে তত বেশি রেহাই পাওয়া যাবে।
পানি পান : অনেকে মনে করেন শীতে পানি কম পান করা উচিত। এটা ঠিক নয়। প্রতিদিন ন্যূনতম ৮ গ্লাস পানি পান করতে হবে। ঠান্ডা পানি পান করার ক্ষেত্রে অসুবিধা মনে হলে গরম পানিতে লেবু মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে।
বিশ্রাম : শীতে পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেওয়া খুবই জরুরি। তবে তা ঘুমসহ ৮ ঘণ্টার বেশি মোটেও উচিত নয়। দীর্ঘ সময় ঘুমালে শরীরে জড়তা চলে আসে, যা ভালো ফল দেয় না।
ব্যায়াম : শীতে সবল ও কর্মক্ষম থাকা কঠিন। তাই এ সময় ব্যায়াম একটি জরুরি বিষয় হয়ে ওঠে। ফলে প্রতিদিন পর্যাপ্ত ব্যায়াম করা উচিত। এক্ষেত্রে অন্তত ৩০ মিনিট হালকা বা ভারী ব্যায়াম করা যেতে পারে।
গরম কাপড় : গরম কাপড় পরিধানের পাশাপাশি সেগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন আছে কিনা সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। কারণ গায়ে পরা কাপড়ে অনেক বেশি ব্যাকটেরিয়া বাসা বাঁধে। তাই গরম কাপড়, লেপ-তোশক, কম্বল ভালোভাবে ধুয়ে সেটা সূর্যের আলোতে যথাযথ শোকাতে হবে। অপরিষ্কার কাপড় এসময় ব্যবহার করা মোটেও উচিত নয়।
ত্বকের আর্দ্রতা : এ সয়টায় ত্বকের বিশেষ যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। এক্ষেত্রে উন্নতমানের প্রসাধনী, অর্থাৎ লোশন, ক্রিম, জেল বা বাড়িতে তৈরি ভেষজ উপাদান শরীরে ব্যবহার করা যেতে পারে।-সুস্বাস্থ্য ডেস্ক

No comments:

Post a Comment