এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয়
অঞ্চলে সামগ্রিকভাবে
এইচআইভি/এইডস
রোগীর সংখ্যা
কমছে। কিন্তু
বাংলাদেশে প্রতি বছর ২৫ শতাংশ
হারে বাড়ছে।
এক্ষেত্রে সুচের মাধ্যমে মাদকসেবী, নারী
যৌনকর্মী, সমকামী, পুরুষ যৌনকর্মী, হিজড়া
এবং যুবকদের
ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠী হিসেবে চিহ্নিত করা
হয়েছে। এদের
মধ্যে বাংলাদেশে
যৌন সংখ্যালঘুদের
একটি বড়
অংশ এইচআইভি/এইডসের সেবা
পাচ্ছে না।
ব্যবস্থা না
নিলে রোগটি
ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়তে পারে। বাংলাদেশের
এইচআইভি/এইডস
পরিস্থিতি নিয়ে জাতিসংঘের এইডস বিষয়ক
সংস্থা ইউএনএইডসের
এক গবেষণা
প্রতিবেদন এমন আশঙ্কা প্রকাশ করা
হয়েছে। উল্লেখ্য,
প্রকৃতির স্বাভাবিক
নিয়মে সংখ্যাগরিষ্ঠ
নারী ও
পুরুষ এই
লিঙ্গীয় পরিচয়ের
বাইরে সংখ্যালঘিষ্ঠ
মানুষকে যৌন
সংখ্যালঘু হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
'যৌন সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠী : প্রেক্ষিত এইচআইভি' বিষয়ক ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশে এইচআইভি আক্রান্ত হিসেবে ৩২৪১ জনকে শনাক্ত করা গেছে। কিন্তু ধারণা করা হচ্ছে এই সংখ্যা সাড়ে ৯ হাজার। এরমধ্যে মাত্র ১১৫০ জন পর্যবেক্ষণে আছে এবং ১০৮৩ জন চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছে। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৩ সালে নতুন করে এইচআইভি ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে ৩৭০ জন। দেশে ১ হাজার ২৯৯ জন এইডস রোগী রয়েছে। ওই বছর নতুন এইডস রোগী সংখ্যা ৯৫ জন। এ পর্যন্ত এইডসে ৪৭২ জন মারা গেছে। ২০১৩ সালে মৃতের সংখ্যা ছিল ৮২ জন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশের মোট জনসংখ্যায় এইচআইভি আক্রান্তের হার ০.১ শতাংশ। কিন্তু ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর মধ্যে এই আক্রান্তের হার ১ শতাংশ। প্রতিবেদনে এইচআইভি শনাক্তের হার সন্তোষজনক নয় উল্লেখ করে বলা হয়েছে, এই হার খুব কম এবং দুই-তৃতীয়াংশ এ ব্যাপারে সচেতন নয়। এর কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, এইচআইভি পরীক্ষায় অনীহা ও ভীতি দায়ী বলে উল্লেখ করা হয়েছে। সামাজিক, রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিকভাবে প্রান্তিক যৌন সংখ্যালঘু এবং হিজড়া জনগোষ্ঠী এ আলোচনার বাইরে রয়েছে। অনিরাপদ যৌন সম্পর্কের কারণে এ সম্প্রদায় এইচআইভি/এইডসসহ নানা যৌন সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে।
সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, রাষ্ট্রীয়ভাবে এখনো হিজড়া জনগোষ্ঠীর সংখ্যা সম্পর্কে সঠিক তথ্য নেই। সর্বশেষ আদমশুমারিতে তৃতীয় লিঙ্গের স্বতন্ত্র কোনো অপশন না থাকায় হিজড়াদের গণনা করা যায়নি। গত বছরের ১১ নভেম্বর সরকার হিজড়াদের তৃতীয় লিঙ্গের স্বীকৃতি দেয়। তবে দেশে তাদের সংখ্যা কতো তার সরকারি কোনো পরিসংখ্যান নেই। হিজড়া সমপ্রদায়ের নেতাদের দাবি এ সংখ্যা কয়েক লাখ। এর মধ্যে অর্ধেকই এইচআইভিসহ যৌন স্বাস্থ্যসেবা বঞ্চিত। বেশিরভাগ পরীক্ষা-নিরীক্ষার আওতায় নেই।
এ ব্যাপারে ডা. ফেরদৌস আহম্মেদ যায়যায়দিনকে বলেন, হিজড়াদের ঝুঁকিপূর্ণ আচরণ, চালচলনের কারণে এরা সমাজে নিগৃহীত; ঘৃণা, অবজ্ঞা ও বৈষম্যের শিকার হচ্ছে। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে বৈষ্যমের কারণে তারা সমাজের মূল স্রোতধারা থেকে বিচ্ছিন্ন। স্বাভাবিক কর্মসংস্থান ও আয়রোজগারের সুযোগ না থাকায় জীবিকার প্রয়োজনে তারা বিভিন্ন ধরনের ঝুঁকিপূর্ণ যৌন আচরণে লিপ্ত হয়। ফলে এসব জনগোষ্ঠী এইচআইভিসহ অন্যান্য যৌন রোগের জন্য যেমন ঝুঁকিপূর্ণ তেমনি তাদের মাধ্যমে সাধারণ জনগোষ্ঠীর মধ্যেও এসব রোগের দ্রুত সংক্রমণ ঘটতে পারে। তিনি বলেন, বাসস্থান, কর্মসংস্থান, স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা, তথ্য ও আইনি সহায়তাসহ বিভিন্ন নাগরিক সুবিধা থেকেও এসব জনগোষ্ঠী বঞ্চিত। 'ঘৃণা-অবহেলা-বৈষম্য এবং মানবাধিকার লঙ্ঘন' এই ভয়াবহ দুষ্টচক্রের মধ্যে আবর্তিত হচ্ছে এই জনগোষ্ঠীর জীবন। তিনি বলেন, প্রচলিত এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে ব্যাপকভাবে সচেতনতা বাড়াতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিতে হবে। এ জনগোষ্ঠীর মানুষের উন্নয়ন সংগঠনগুলোকে নিয়ে সরকার সংশ্লিষ্ট কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ প্রয়োজন।
এ বিষয়ে ববি হিজড়া জানান, তারা প্রতিনিয়ত সমাজে অবহেলা ও নিগৃহের শিকার হন। তারা স্বাস্থ্যসেবা থেকে পিছিয়ে। এইচআইভি প্রতিরোধে তারা নানা ধরনের কাজ করছেন। এক্ষেত্রে ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীকে সচেতনতা বৃদ্ধিতে আরো কাজ করতে হবে। তাদের শিক্ষা-দীক্ষায় বেশি করে জোর দিতে হবে। মূল ধারায় নিয়ে আসতে হবে।
নায়রা হিজড়া জানান, হিজড়া জনগোষ্ঠীর প্রত্যেকের জীবনের গল্প একই। নারী বৈশিষ্ট্য প্রকাশ পেতে শুরু করার পরপরই তারা যৌন নির্যাতনের শিকার হন। বাড়িতেও নিগ্রহের শিকার হন। পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে দীক্ষা নিয়ে হিজড়া সমপ্রদায়ভুক্ত হয়ে জীবনযাপন করেন। চাঁদা উঠিয়ে দলনেতার হাতে তুলে দিতে বাধ্য হন। আবার অনেকেই যৌনকর্মে জড়িয়ে পড়েন। তিনি বলেন, সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করতে হবে। এজন্য তাদের মূল ধারায় নিয়ে আসতে হবে।
এ ব্যাপারে ইউএনএইডসের কান্ট্রি পরিচালক লিও কেনি বলেন, জনসংখ্যা তত্ত্বের ভিত্তিতে বাংলাদেশের এইচআইভি প্রতিরোধ কার্যক্রম ব্যাপক চ্যালেঞ্জের মধ্যে রয়েছে। কেননা, বাংলাদেশ একটি ঘনবসতিপূর্ণ দেশ, এখানে দীর্ঘদিনের দারিদ্র্য, শিক্ষার অভাব ও লিঙ্গবৈষম্য বিরাজ করছে। তিনি বলেন, যৌন সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠী সমাজে লুকায়িত রয়েছে। এক্ষেত্রে এ জনগোষ্ঠীর প্রতি মানবাধিকার, সরকারি নীতি এবং আইনগত পরিবেশ প্রয়োজন। গণমাধ্যম, সরকার এবং সুশীল সমাজের সমন্বিত অ্যাডভোকেসির মাধ্যমে দেশে এইচআইভি আক্রান্তের ঝুঁকি আরো কমিয়ে আনা সম্ভব বলে তিনি মনে করেন।
উল্লেখ্য, প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, হোটেল এবং আবাসিক ও ভাসমান নারী যৌনকর্মীর মাত্র ৪৫ শতাংশ স্বাস্থ্যসেবার আওতায় আছে। তবে যৌনপল্লীর নারী যৌনকর্মী শতভাগ স্বাস্থসেবার আওতায়। সমকামী বা পুরুষ যৌনকর্মী মাত্র ২৫ শতাংশ স্বাস্থ্যসেবার আওতায়। আর হিজড়া জনগোষ্ঠীর অর্ধেকই এইচআইভিসহ যৌন স্বাস্থ্যসেবা বঞ্চিত। সুপারিশে বলা হয়েছে, স্বাস্থ্যসেবা, নিজস্ব ঝুঁকি, মনোভাব, সঙ্গীর সঙ্গে বিশ্বস্ততা, অনিরাপদ যৌন সম্পর্ক বর্জন এবং নারী, পুরুষ ও হিজড়া জনগোষ্ঠীর যৌন স্বাস্থ্যসেবা এইচআইভি ঝুঁকি কমাতে পারে। এক্ষেত্রে সামাজিক আচরণ ও রীতির চর্চা করা; বৈষম্য, কলঙ্ক ও লিঙ্গ বৈষম্য দূর করা; যৌন সংখ্যালঘু ও হিজড়া জনগোষ্ঠী আলোচনার বাইরে পড়ে। যারা সামাজিক, রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিকভাবে প্রান্তিক তাদের ব্যাপারে বিশেষ খেয়াল রাখা জরুরি। বাংলাদেশে ২০১৫ সালের মধ্যে আক্রান্তের হার ৫০ শতাংশে নামিয়ে আনার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। নানাবিধ পদক্ষেপের কারণে কনডম ব্যবহারের মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে। যৌনবাহিত রোগ সিফিলিসের প্রকোপ কমেছে। -
'যৌন সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠী : প্রেক্ষিত এইচআইভি' বিষয়ক ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশে এইচআইভি আক্রান্ত হিসেবে ৩২৪১ জনকে শনাক্ত করা গেছে। কিন্তু ধারণা করা হচ্ছে এই সংখ্যা সাড়ে ৯ হাজার। এরমধ্যে মাত্র ১১৫০ জন পর্যবেক্ষণে আছে এবং ১০৮৩ জন চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছে। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৩ সালে নতুন করে এইচআইভি ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে ৩৭০ জন। দেশে ১ হাজার ২৯৯ জন এইডস রোগী রয়েছে। ওই বছর নতুন এইডস রোগী সংখ্যা ৯৫ জন। এ পর্যন্ত এইডসে ৪৭২ জন মারা গেছে। ২০১৩ সালে মৃতের সংখ্যা ছিল ৮২ জন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশের মোট জনসংখ্যায় এইচআইভি আক্রান্তের হার ০.১ শতাংশ। কিন্তু ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর মধ্যে এই আক্রান্তের হার ১ শতাংশ। প্রতিবেদনে এইচআইভি শনাক্তের হার সন্তোষজনক নয় উল্লেখ করে বলা হয়েছে, এই হার খুব কম এবং দুই-তৃতীয়াংশ এ ব্যাপারে সচেতন নয়। এর কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, এইচআইভি পরীক্ষায় অনীহা ও ভীতি দায়ী বলে উল্লেখ করা হয়েছে। সামাজিক, রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিকভাবে প্রান্তিক যৌন সংখ্যালঘু এবং হিজড়া জনগোষ্ঠী এ আলোচনার বাইরে রয়েছে। অনিরাপদ যৌন সম্পর্কের কারণে এ সম্প্রদায় এইচআইভি/এইডসসহ নানা যৌন সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে।
সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, রাষ্ট্রীয়ভাবে এখনো হিজড়া জনগোষ্ঠীর সংখ্যা সম্পর্কে সঠিক তথ্য নেই। সর্বশেষ আদমশুমারিতে তৃতীয় লিঙ্গের স্বতন্ত্র কোনো অপশন না থাকায় হিজড়াদের গণনা করা যায়নি। গত বছরের ১১ নভেম্বর সরকার হিজড়াদের তৃতীয় লিঙ্গের স্বীকৃতি দেয়। তবে দেশে তাদের সংখ্যা কতো তার সরকারি কোনো পরিসংখ্যান নেই। হিজড়া সমপ্রদায়ের নেতাদের দাবি এ সংখ্যা কয়েক লাখ। এর মধ্যে অর্ধেকই এইচআইভিসহ যৌন স্বাস্থ্যসেবা বঞ্চিত। বেশিরভাগ পরীক্ষা-নিরীক্ষার আওতায় নেই।
এ ব্যাপারে ডা. ফেরদৌস আহম্মেদ যায়যায়দিনকে বলেন, হিজড়াদের ঝুঁকিপূর্ণ আচরণ, চালচলনের কারণে এরা সমাজে নিগৃহীত; ঘৃণা, অবজ্ঞা ও বৈষম্যের শিকার হচ্ছে। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে বৈষ্যমের কারণে তারা সমাজের মূল স্রোতধারা থেকে বিচ্ছিন্ন। স্বাভাবিক কর্মসংস্থান ও আয়রোজগারের সুযোগ না থাকায় জীবিকার প্রয়োজনে তারা বিভিন্ন ধরনের ঝুঁকিপূর্ণ যৌন আচরণে লিপ্ত হয়। ফলে এসব জনগোষ্ঠী এইচআইভিসহ অন্যান্য যৌন রোগের জন্য যেমন ঝুঁকিপূর্ণ তেমনি তাদের মাধ্যমে সাধারণ জনগোষ্ঠীর মধ্যেও এসব রোগের দ্রুত সংক্রমণ ঘটতে পারে। তিনি বলেন, বাসস্থান, কর্মসংস্থান, স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা, তথ্য ও আইনি সহায়তাসহ বিভিন্ন নাগরিক সুবিধা থেকেও এসব জনগোষ্ঠী বঞ্চিত। 'ঘৃণা-অবহেলা-বৈষম্য এবং মানবাধিকার লঙ্ঘন' এই ভয়াবহ দুষ্টচক্রের মধ্যে আবর্তিত হচ্ছে এই জনগোষ্ঠীর জীবন। তিনি বলেন, প্রচলিত এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে ব্যাপকভাবে সচেতনতা বাড়াতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিতে হবে। এ জনগোষ্ঠীর মানুষের উন্নয়ন সংগঠনগুলোকে নিয়ে সরকার সংশ্লিষ্ট কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ প্রয়োজন।
এ বিষয়ে ববি হিজড়া জানান, তারা প্রতিনিয়ত সমাজে অবহেলা ও নিগৃহের শিকার হন। তারা স্বাস্থ্যসেবা থেকে পিছিয়ে। এইচআইভি প্রতিরোধে তারা নানা ধরনের কাজ করছেন। এক্ষেত্রে ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীকে সচেতনতা বৃদ্ধিতে আরো কাজ করতে হবে। তাদের শিক্ষা-দীক্ষায় বেশি করে জোর দিতে হবে। মূল ধারায় নিয়ে আসতে হবে।
নায়রা হিজড়া জানান, হিজড়া জনগোষ্ঠীর প্রত্যেকের জীবনের গল্প একই। নারী বৈশিষ্ট্য প্রকাশ পেতে শুরু করার পরপরই তারা যৌন নির্যাতনের শিকার হন। বাড়িতেও নিগ্রহের শিকার হন। পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে দীক্ষা নিয়ে হিজড়া সমপ্রদায়ভুক্ত হয়ে জীবনযাপন করেন। চাঁদা উঠিয়ে দলনেতার হাতে তুলে দিতে বাধ্য হন। আবার অনেকেই যৌনকর্মে জড়িয়ে পড়েন। তিনি বলেন, সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করতে হবে। এজন্য তাদের মূল ধারায় নিয়ে আসতে হবে।
এ ব্যাপারে ইউএনএইডসের কান্ট্রি পরিচালক লিও কেনি বলেন, জনসংখ্যা তত্ত্বের ভিত্তিতে বাংলাদেশের এইচআইভি প্রতিরোধ কার্যক্রম ব্যাপক চ্যালেঞ্জের মধ্যে রয়েছে। কেননা, বাংলাদেশ একটি ঘনবসতিপূর্ণ দেশ, এখানে দীর্ঘদিনের দারিদ্র্য, শিক্ষার অভাব ও লিঙ্গবৈষম্য বিরাজ করছে। তিনি বলেন, যৌন সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠী সমাজে লুকায়িত রয়েছে। এক্ষেত্রে এ জনগোষ্ঠীর প্রতি মানবাধিকার, সরকারি নীতি এবং আইনগত পরিবেশ প্রয়োজন। গণমাধ্যম, সরকার এবং সুশীল সমাজের সমন্বিত অ্যাডভোকেসির মাধ্যমে দেশে এইচআইভি আক্রান্তের ঝুঁকি আরো কমিয়ে আনা সম্ভব বলে তিনি মনে করেন।
উল্লেখ্য, প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, হোটেল এবং আবাসিক ও ভাসমান নারী যৌনকর্মীর মাত্র ৪৫ শতাংশ স্বাস্থ্যসেবার আওতায় আছে। তবে যৌনপল্লীর নারী যৌনকর্মী শতভাগ স্বাস্থসেবার আওতায়। সমকামী বা পুরুষ যৌনকর্মী মাত্র ২৫ শতাংশ স্বাস্থ্যসেবার আওতায়। আর হিজড়া জনগোষ্ঠীর অর্ধেকই এইচআইভিসহ যৌন স্বাস্থ্যসেবা বঞ্চিত। সুপারিশে বলা হয়েছে, স্বাস্থ্যসেবা, নিজস্ব ঝুঁকি, মনোভাব, সঙ্গীর সঙ্গে বিশ্বস্ততা, অনিরাপদ যৌন সম্পর্ক বর্জন এবং নারী, পুরুষ ও হিজড়া জনগোষ্ঠীর যৌন স্বাস্থ্যসেবা এইচআইভি ঝুঁকি কমাতে পারে। এক্ষেত্রে সামাজিক আচরণ ও রীতির চর্চা করা; বৈষম্য, কলঙ্ক ও লিঙ্গ বৈষম্য দূর করা; যৌন সংখ্যালঘু ও হিজড়া জনগোষ্ঠী আলোচনার বাইরে পড়ে। যারা সামাজিক, রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিকভাবে প্রান্তিক তাদের ব্যাপারে বিশেষ খেয়াল রাখা জরুরি। বাংলাদেশে ২০১৫ সালের মধ্যে আক্রান্তের হার ৫০ শতাংশে নামিয়ে আনার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। নানাবিধ পদক্ষেপের কারণে কনডম ব্যবহারের মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে। যৌনবাহিত রোগ সিফিলিসের প্রকোপ কমেছে। -
যায়যায় দিন
No comments:
Post a Comment