চোখের ঘা : চোখর কালো মণিতে সাদা দাগ, আক্রান্ত চোখ লাল হওয়া, ব্যাথা হওয়া, আলো সহ্য করতে না পারা এবং দৃষ্টি কমে যাওয়া ইত্যাদি এই রোগের লক্ষণ। আঘাতের কারণে সাধারণত এই রোগ হয়। ধান কাটার মৌসুমে ধানের পাতার বা ধানের আঘাতে আমাদের দেশে এই রোগ বেশী হয়। ভিটামিন ‘এ’ এর অভাবে বাচ্চাদের মধ্যে এই রোগ গতে পারে। সময়মত ডাক্তারের পরামর্শে এই রোগের চিকিৎসা না করলে স্থায়ী অন্ধত্ব হতে পারে।
চোখের প্রদাহ বা ইউভাইটিস : চোখ লাল হওয়া, আলো সহ্য করতে না পারা, চোখে প্রচন্ড ব্যাথা হওয়া ইত্যাদি এই রোগের লক্ষণ। রোগ একটু পুরানো হলে দৃষ্টিও কমে যেতে পারে। চোখে আঘাতের কারণে এই রোগ হতে পারে। এছাড়াও যাদের বাত রোগ আছে, তাদের এ রোগ হওয়ার সম্ভাবনা বেশী থাকে। ডাক্তারের পরামর্শে সময়মত চিকিৎসা শুরু করলে অন্ধত্ব থেকে চোখকে রক্ষা করা যায়।
চোখের উচ্চচাপ বা গস্নুকোমা : চোখে ব্যাথা হওয়া, আলো সহ্য করতে না পারা, চোখ দিয়ে পানি পড়া, মাথা ব্যাথা ও বমির ভাব হওয়া ইত্যাদি এই রোগের লক্ষণ। চোখের ভেতরের চাপ বেড়ে গিয়ে চোখের পেছনের স্নায়ু অকার্যকর হয়ে চোখের দৃষ্টিও কমে যেতে পারে। সময়মত চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে চোখের ভেতরের চাপ কমিয়ে অন্ধত্ব থেকে চোখকে রক্ষা করা যেতে পারে।
পরামর্শ বা করনীয় : লাল চোখের চিকিৎসা নেয়ার জন্য চোখের ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া প্রয়োজন। অ্যালার্জী করতে পারে এইসব বস্তু বা পরিবেশ পরিহার করতে হবে। অ্যালার্জী হলে ডাক্তারের বেশীদিন স্টেরইড জাতীয় ড্রপ ব্যবহার করা উচিত নয়, এতে চোখের চাপ বেড়ে গিয়ে চোখ অন্ধ হয়ে যেতে পারে। কর্ণিয়ার ঘা এ চোখে স্টেরইড ব্যবহার অনুচিত। চোখের প্রদাহের সাথে বাত রোগের চিকিৎসা না করলে প্রদাহ ভাল হয়না। চোখ উঠলে বেশী লোক সমাগমে না যাওয়া শ্রেয়। ব্যবহারের রুমাল এবং কাপড়-চোপড় বালিশের কভার, বিছানার চাদর প্রতিদিন গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেললে রোগ ছড়ানোর সম্ভাবনা কমে।
No comments:
Post a Comment