বিনোদন রিপোর্ট
সাবিনা ইয়াসমীন হামিন আহমেদসঙ্গীতশিল্পীরা দীর্ঘদিন ধরে অডিও বাজারের অস্থিরতা, পাইরেসি, অপর্যাপ্ত রয়্যালিটি'সহ নানা সমস্যায় ভুগছেন। তাই তারা নতুন গান প্রকাশ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানগুলোও দিনকে দিন অ্যালবাম প্রকাশে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে। এ কারণে অডিও অঙ্গনে গানের সঙ্কট দেখা দিয়েছে। সবমিলিয়ে অডিও শিল্প ক্রমশ অস্তিত্ব সঙ্কটের দিকে এগিয়ে চলছে। এ নিয়ে শিল্পীসহ অডিও সংশ্লিষ্টরা বেশ হতাশার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। অডিও শিল্পকে বাঁচাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেও আশানুরূপ সাড়া পাওয়া যায়নি। ফলে অডিও বাজারের অস্থিরতা ও পাইরেসি দিনকে দিন প্রকট আকার ধারণ করছে। অডিও শিল্পকে রক্ষার জন্য ইতোমধ্যে সঙ্গীতাঙ্গনে বেশ ক'টি সংগঠনের আত্মপ্রকাশ ঘটেছে। সংগঠনগুলোর উদ্যোগে কিছুদিন আগে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাইরেসির বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হয়। এ অভিযানে বিপুলসংখ্যক অবৈধ সিডি জব্দ করা হয়েছে। অবৈধ সিডি তৈরি ও রাখার দায়ে বেশ ক'জন ব্যবসায়ীকেও জরিমানা করা হয়েছে। তবে বর্তমানে এর কার্যক্রম অনেকটা ঝিমিয়ে পড়েছে।
এদিকে অডিও বাজারের বর্তমান অবস্থার জন্য অনেক শিল্পী আবার সংগঠনগুলোকেই দায়ী করছেন। এ প্রসঙ্গে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিল্পী বলেন, 'আসলে সংগঠনগুলো শুধু নিজেদের হিসাবটাই বুঝে নিচ্ছে। তারা অডিও শিল্প কিংবা অন্য শিল্পীদের কথা মোটেও ভাবছেন না। এতগুলো সংগঠন একসঙ্গে কাজ করলে, অডিও বাজারে কোনো সমস্যাই থাকার কথা নয়। কিন্তু সংগঠনের লোকেরা শুধু নিজেদের স্বার্থ হাসিল করে চুপটি মেরে বসে থাকেন। অন্য শিল্পীরা কোনো অসুবিধায় আছেন কী না, তা নিয়ে তাদের কোনো মাথাব্যথা নেই।'
অডিও শিল্পের বর্তমান পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে করণীয় বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে চাইলে প্রযোজকদের সংগঠন এমআইবির সভাপতি ও প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জি-সিরিজের কর্ণধার নাজমুল হক ভুঁইয়া খালেদ বলেন, 'মাঝে আমরা পাইরেসি রুখতে দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়েছি। অনেক পাইরেটেড সিডি জব্দ করেছি। এরপর সিডি পাইরেসির বিষয়টি অনেকটা কমে এসেছে। আমরা এখনো আমাদের অভিযান অব্যাহত রেখেছি। তবে অনলাইনে গান পাইরেসির বিষয়টি এখনো রয়ে গেছে। এটি রুখতে আমরা সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপও কামনা করেছি। তাদের উদ্যোগে কয়েকটি অনলাইনও বন্ধ হয়েছে। তবে যে হারে অনলাইন বৃদ্ধি পাচ্ছে, সে তুলনায় এটা কিছুই না। এ বিষয়টি সরকারকে আরো গুরুত্বসহকারে দেখতে হবে।'
দ্য রিপাবলিক অব ইয়াং মিউজিশিয়ানস বাংলাদেশের (আরওয়াইএমবি) উপদেষ্টা সঙ্গীতশিল্পী আসিফ আকবর বলেন, 'অডিও বাজারের অবস্থা আগের তুলনায় অনেকটা ভালো হয়ে উঠেছে। পাইরেসির বিষয়টিও কমে এসেছে। তবে শিল্পীদের প্রাপ্য রয়্যালিটির বিষয়ে এখনো জটিলতা রয়ে গেছে। এফএম রেডিওসহ মুঠোফোন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো শিল্পীদের গান হরহামেশাই বাজাচ্ছে। কিন্তু এর সঠিক হিসাব তারা শিল্পীদের দিচ্ছে না। এ বিষয়ে ওইসব প্রতিষ্ঠানকে সচেতন হতে হবে। তা না হলে শিল্পীরা নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে ব্যর্থ হবে। এর ফলে তাদেরই একসময় ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে। পাশাপাশি অবৈধ ওয়েবসাইট, পেইনড্রাইব ও মেমোরিকার্ডে গান আদান-প্রদান বন্ধ করতে হবে। তাহলেই কেবল অডিও বাজার আবার চাঙ্গা হয়ে উঠবে।'
বাংলাদেশ লিরিসিস্টস, কম্পোজারস অ্যান্ড পারফর্মাস সোসাইটি'র (বিএলসিপিএস) সভাপতি কণ্ঠশিল্পী সাবিনা ইয়াসমীন বলেন, 'আমরা যারা অডিও শিল্পের সঙ্গে জড়িত আছি, তাদের সবাইকে এক হয়ে নিজেদের অধিকার আদায় ও পাইরেসি বন্ধের জন্য লড়তে হবে। তবেই সব সমস্যার সমাধান হবে।'
বাংলাদেশ মিউজিক্যাল ব্যান্ড অ্যাসোসিয়েশনের (বামবা) সভাপতি ও মাইলস ব্যান্ডের প্রধান হামিন আহমেদ বলেন, 'পাইরেসি বন্ধে আমাদের দেশে যে আইন আছে, তার সঠিক প্রয়োগ করতে হবে। পাইরেসি ও শিল্পীদের প্রাপ্য অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে ইতোমধ্যে আমারা বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের সঙ্গে কথা বলেছি। তাদের কাছ থেকে ইতিবাচক সাড়াও পেয়েছি। আমাদের রয়্যালিটি বুঝে নিতে ইতোমধ্যে আমরা কয়েকটি নামি-দামি প্রতিষ্ঠানকে আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছি। আমাদের কার্যক্রম এভাবে চালিয়ে যেতে পারলে অচিরেই নিজেদের অধিকার আদায়ে অনেকটা সফল হব। তবে এ ব্যাপারে নবীন-প্রবীণ সব শিল্পী ও সংগঠনের সমর্থন কামনা করছি।'
শিল্পী ও সংগঠনগুলোর সঙ্গে কথা বলে এইটুকু ধারণা পাওয়া গেল যে, সবাই মিলে একযোগে কাজ করলে অডিও বাজারের বর্তমান সঙ্কটের অবসান ঘটানো সম্ভব।
এদিকে অডিও বাজারের বর্তমান অবস্থার জন্য অনেক শিল্পী আবার সংগঠনগুলোকেই দায়ী করছেন। এ প্রসঙ্গে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিল্পী বলেন, 'আসলে সংগঠনগুলো শুধু নিজেদের হিসাবটাই বুঝে নিচ্ছে। তারা অডিও শিল্প কিংবা অন্য শিল্পীদের কথা মোটেও ভাবছেন না। এতগুলো সংগঠন একসঙ্গে কাজ করলে, অডিও বাজারে কোনো সমস্যাই থাকার কথা নয়। কিন্তু সংগঠনের লোকেরা শুধু নিজেদের স্বার্থ হাসিল করে চুপটি মেরে বসে থাকেন। অন্য শিল্পীরা কোনো অসুবিধায় আছেন কী না, তা নিয়ে তাদের কোনো মাথাব্যথা নেই।'
অডিও শিল্পের বর্তমান পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে করণীয় বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে চাইলে প্রযোজকদের সংগঠন এমআইবির সভাপতি ও প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জি-সিরিজের কর্ণধার নাজমুল হক ভুঁইয়া খালেদ বলেন, 'মাঝে আমরা পাইরেসি রুখতে দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়েছি। অনেক পাইরেটেড সিডি জব্দ করেছি। এরপর সিডি পাইরেসির বিষয়টি অনেকটা কমে এসেছে। আমরা এখনো আমাদের অভিযান অব্যাহত রেখেছি। তবে অনলাইনে গান পাইরেসির বিষয়টি এখনো রয়ে গেছে। এটি রুখতে আমরা সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপও কামনা করেছি। তাদের উদ্যোগে কয়েকটি অনলাইনও বন্ধ হয়েছে। তবে যে হারে অনলাইন বৃদ্ধি পাচ্ছে, সে তুলনায় এটা কিছুই না। এ বিষয়টি সরকারকে আরো গুরুত্বসহকারে দেখতে হবে।'
দ্য রিপাবলিক অব ইয়াং মিউজিশিয়ানস বাংলাদেশের (আরওয়াইএমবি) উপদেষ্টা সঙ্গীতশিল্পী আসিফ আকবর বলেন, 'অডিও বাজারের অবস্থা আগের তুলনায় অনেকটা ভালো হয়ে উঠেছে। পাইরেসির বিষয়টিও কমে এসেছে। তবে শিল্পীদের প্রাপ্য রয়্যালিটির বিষয়ে এখনো জটিলতা রয়ে গেছে। এফএম রেডিওসহ মুঠোফোন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো শিল্পীদের গান হরহামেশাই বাজাচ্ছে। কিন্তু এর সঠিক হিসাব তারা শিল্পীদের দিচ্ছে না। এ বিষয়ে ওইসব প্রতিষ্ঠানকে সচেতন হতে হবে। তা না হলে শিল্পীরা নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে ব্যর্থ হবে। এর ফলে তাদেরই একসময় ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে। পাশাপাশি অবৈধ ওয়েবসাইট, পেইনড্রাইব ও মেমোরিকার্ডে গান আদান-প্রদান বন্ধ করতে হবে। তাহলেই কেবল অডিও বাজার আবার চাঙ্গা হয়ে উঠবে।'
বাংলাদেশ লিরিসিস্টস, কম্পোজারস অ্যান্ড পারফর্মাস সোসাইটি'র (বিএলসিপিএস) সভাপতি কণ্ঠশিল্পী সাবিনা ইয়াসমীন বলেন, 'আমরা যারা অডিও শিল্পের সঙ্গে জড়িত আছি, তাদের সবাইকে এক হয়ে নিজেদের অধিকার আদায় ও পাইরেসি বন্ধের জন্য লড়তে হবে। তবেই সব সমস্যার সমাধান হবে।'
বাংলাদেশ মিউজিক্যাল ব্যান্ড অ্যাসোসিয়েশনের (বামবা) সভাপতি ও মাইলস ব্যান্ডের প্রধান হামিন আহমেদ বলেন, 'পাইরেসি বন্ধে আমাদের দেশে যে আইন আছে, তার সঠিক প্রয়োগ করতে হবে। পাইরেসি ও শিল্পীদের প্রাপ্য অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে ইতোমধ্যে আমারা বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের সঙ্গে কথা বলেছি। তাদের কাছ থেকে ইতিবাচক সাড়াও পেয়েছি। আমাদের রয়্যালিটি বুঝে নিতে ইতোমধ্যে আমরা কয়েকটি নামি-দামি প্রতিষ্ঠানকে আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছি। আমাদের কার্যক্রম এভাবে চালিয়ে যেতে পারলে অচিরেই নিজেদের অধিকার আদায়ে অনেকটা সফল হব। তবে এ ব্যাপারে নবীন-প্রবীণ সব শিল্পী ও সংগঠনের সমর্থন কামনা করছি।'
শিল্পী ও সংগঠনগুলোর সঙ্গে কথা বলে এইটুকু ধারণা পাওয়া গেল যে, সবাই মিলে একযোগে কাজ করলে অডিও বাজারের বর্তমান সঙ্কটের অবসান ঘটানো সম্ভব।
No comments:
Post a Comment